বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা বলতে এত চুলকানি কেন?

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
অফিসে কাজ করছিলাম, হটাৎ আমার সহকারি ছোট ভাই প্রশ্ন করল, ভাইয়া কাল কিসের বন্ধ? আমি অনেকটা বিস্মিত ও আবেগ প্রবণ হয়ে বললাম; কাল স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি মরহুম প্রেসিডেন্ট ও জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যু দিবস অর্থাৎ জাতীয় শোক দিবস
সে উত্তর দিল, শেখ মুজিব জাতির পিতা হতে পারে না। জাতির পিতা হযরত আদম (আ.)। আমি বললাম পারে, অবশ্যই পারে। তুমি বুঝনা বলেই একথা বলছ। বুঝলে অবশ্যই এ কথা বলতে না। পরে আমি তাকে বুঝিয়ে দিলাম যে……;
আদম (আ.) হলেন মানব জাতির আদি পিতা, হযরত ইবরাহীম (আ.) হলেন মুসলিম জাতির পিতা আর আমাদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হচ্ছেন বাঙালি জাতির পিতা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

পরে সে কিছুটা বুঝতে পারল বলে আমার মনে হয়েছে। আসলে যার মনে যেটা সেটিংস হয়ে গিয়েছে সেখানে অন্যকিছুর স্থান দেওয়া অনেক কষ্ট সাধ্য ব্যাপার যা সবায় পারে না। আল্লাহ আমাদের সবায়কে বুঝার তৌফিক দান করুক। আমিন।

এরপরেও যাদের চুলকানি এখনো যায়নি তাদের বলি, আপনারা বঙ্গবন্ধুকে জানতে হলে বাংলাদেশের ইতিহাস পড়ুন। বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশ হয় না, হবে না। যারা বঙ্গবন্ধুকে জানে না, তারাতো বাংলাদেশকেই জানে না। বঙ্গবন্ধু কোন দলীয় নেতা নয়, তিনি বাংলাদেশের সকল মানুসের নেতা। আপনারা যারা আমাকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন তারা অবশ্যই জানেন সাইফুল বিন আ. কালাম কারো চামচামি করে না এবং কখনো করবেও না ইনশা আল্লাহ। যা বললাম পড়ে, জেনে, বুঝে বলছি।
১৯৪৭ সালে অতি আবেগ প্রবণ হয়ে বাস্তবতাকে উপেক্ষা করার কারণে আমরা পশ্চিমবঙ্গ তথা কলকাতাকে হারিয়েছি। মুসলিমলীগ ও কংগ্রেসে রোষারোষির কারণে তখন দেশ বিভক্ত হয়ে দ্বি-জাতি তত্বের ভিত্তিতে পাকিস্থান ও ভারত দুটি আলাদা রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে। মহাত্মা গান্ধী অনেক চেয়েছিল যে দেশ ভাগ হওয়ার দরকার নাই, আমরা একসাথে থাকবো। কিন্তু অতি আবেগপ্রবণ নেত্রীগোষ্ঠী সেটা মেনে নিতে পারে নি। তাই আমরা আরো দীর্ঘ্য ২৪ বছর পাকিদের গোলামে পরিণত হয়েছিলাম। তাই আসুন সত্যিকে উপলব্ধি করুন। মানুষ মাত্রই ভুলের উর্ধ্বে নয় তাই বঙ্গবন্ধুও ভুলের উর্ধ্বে নয়। তাঁর সিদ্ধান্তেও হয়ত অনেক কিছু ভুল থাকতে পারে মানুষ হিসেবে। তাই এই বংলাদেশ যাঁর নেতৃত্বে পেয়েছি তাঁকে অস্বিকার করারমত দুঃসাহস অন্তত আমার হয়নি।

Save