শয়তান যেভাবে আমাদের ব্যবহার করে – দেখুন নয় মিনিটের একটি ভিডিও

saiful bin a kalamসাইফুল ও ইমতিয়াজ দু’বন্ধু। তারা পরষ্পর সুখে-দুঃখে একে অপরের পাশে দাঁড়ায়। কাজের ফাঁকে একটু সময় পেলে জমে উঠে তাদের আড্ডা, মজা। এসব দেখে কুচক্রি ইবলিশ শয়তানের গাঁ জ্বলে উঠে। সে ভাবতে থাকে কীভাবে দু’জনের মধ্যে ঝগড়া লাগিয়ে দিয়ে মধুর সম্পর্কটাকে নষ্ট করা যায়। তাই সে কৌশলে সাইফুলের কাছে গিয়ে ইমতিয়াজের নামে মিথ্যা রটনা করল। শুরু হলো দু’বন্ধুর দ্বন্দ্ব! একে অপরকে ভুল বুঝে পরষ্পর বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল।

শয়তানের ফাঁদে পা দেওয়াতে তাদের জান্নাতি সম্পর্কটা মুহুর্তে জাহান্নামের অগ্নি শিখাতে পরিণত হলো। অপরদিকে শয়তান নিজের সফলতার জন্য ইয়াম্মি ডান্স দিচ্ছে। যেভাবে সূরা আল-আরাফের ১৭ নং আয়াতে আল্লাহ তা’য়ালা বলেছেন:

“অতঃপর আমি তাদের সামনে, পেছনে, ডানে ও বামে দিয়ে আসব এবং তুমি তাদের অধিকাংশকে কৃতজ্ঞ পাবে না।”

এটিই ছিল এই নাটিকার মূল গল্প। নাটিকাটি রচনা, পরিচালনা ও প্রযোজনা করি আমি সাইফুল বিন আ. কালাম। আমার সাথে অভিনয় করেছেন,  আমার একান্ত প্রিয় বন্ধু । ইতোমধ্যে অনেকেই তার অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন। প্রথম অভিনয় হিসেবে সে চমৎকার অভিনয় করেছে। নাটিকাটির কলা-কুশলি হিসেবে আরো যারা ছিলেন;  প্রিয় বন্ধু আব্দুল আহাদ আল-আজাদ, দেলোয়ার বিন ওয়াই মিঞা ও খালাত ভাই জিহাদুল ইসলাম। জিহাদ অনেক দক্ষতার সাথে ভিডিও শুট করেছে।

শয়তানের ফাঁদ
শয়তানের ফাঁদ

নাটিকাটিতে আমাকে ডাবল রোলে দেখা যাবে। একই সাথে সাইফুল ও শয়তানের চরিত্রে অভিনয় করেছি। ভিডিও এডিটিং করেছি ক্যামটাসিয়া স্টুডিও নাইন দিয়ে। অ্যাপ্লিকেশনটি অনেক চমৎকার।

নাটিকাটি নির্মানে আমাকে প্রচুর উৎসাহ দিয়েছে বন্ধু আব্দুল আহাদ আল-আজাদ। আর দেলোয়ার নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে আমাকে সহযোগিতা করেছে। আমি এদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞ।

আমরা ছোট পরিসরে ভাল কিছু করার চেষ্টা করতেছি। দর্শকদের উৎসাহ ও সহযোগীতা পেলে ভবিষ্যতে আরো ভাল কিছু উপহার দিতে পারব । আশা করতেছি নাটিকাটি দর্শকদের ভাল লাগবে ।